🧾 আয়কর রেজিস্ট্রেশন (e-TIN) এর পদ্ধতি – বাংলাদেশ ২০২৩
বাংলাদেশে আয়কর রেজিস্ট্রেশন বা e-TIN (Electronic Taxpayer Identification Number) নেওয়া এখন বাধ্যতামূলক অনেক ক্ষেত্রে। যেমন: ব্যাংক হিসাব খোলা, জমি কেনা, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স করা ইত্যাদি।
✅ ধাপ ১: অনলাইন পোর্টালে প্রবেশ করুন
🔗 ওয়েবসাইট: https://etaxnbr.gov.bd
এটি হলো NBR (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) এর আয়কর রেজিস্ট্রেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
✅ ধাপ ২: নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
- "Register" বাটনে ক্লিক করুন
- আপনি কি ব্যক্তি করদাতা না কোম্পানি করদাতা – নির্বাচন করুন
- NID নম্বর ও জন্ম তারিখ দিন
- মোবাইলে প্রাপ্ত OTP কোড দিয়ে যাচাই করুন
- ইমেইল, পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
✅ ধাপ ৩: প্রোফাইল পূরণ করুন
লগইন করার পর নিচের তথ্যগুলো দিন:
- নাম (বাংলা ও ইংরেজি)
- পিতা/মাতার নাম
- ঠিকানা (স্থায়ী ও বর্তমান)
- পেশা
- চাকরি বা ব্যবসার তথ্য
- কর অঞ্চল (সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ হয়)
✅ ধাপ ৪: TIN তৈরি এবং ডাউনলোড
সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ ও সাবমিট করলে অটো জেনারেটেড একটি e-TIN সার্টিফিকেট আপনি পেয়ে যাবেন। এটি PDF ফাইল আকারে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন।
⚠️ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- NID ছাড়া TIN নেওয়া সম্ভব নয় (ব্যক্তিগত করদাতার জন্য)
- একাধিক TIN গ্রহণ নিষিদ্ধ
- ভুল তথ্য দিলে TIN বাতিল বা জরিমানা হতে পারে
📋 কোন কোন কাজে TIN বাধ্যতামূলক?
- ব্যাংক একাউন্ট খোলা
- ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া
- জমি বা ফ্ল্যাট কেনাবেচা
- গাড়ি রেজিস্ট্রেশন
- পাসপোর্টের জন্য আবেদন
- কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত হওয়া
✍️ উপসংহার
বর্তমান ডিজিটাল যুগে TIN নেওয়া এখন খুব সহজ ও সময় সাশ্রয়ী। আপনি নিজেই এটি করতে পারেন – দালাল ছাড়াই।
🔗 পরবর্তী পোস্ট: TIN থাকলে কিভাবে রিটার্ন দাখিল করবেন এবং কারা বাধ্যতামূলক রিটার্ন জমা দেবেন।
Post a Comment
0Comments