Freelancer Income Tax in Bangladesh – Full Guide 2025
সংক্ষিপ্ত: ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বাংলাদেশে আয় করলে কর কীভাবে নির্ধারণ করবেন, রিটার্ন কিভাবে করবেন, কী কী খরচ বাদ দেয়া যাবে এবং উদাহরণসহ দেখুন।
👤 ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কারা আয়কর দিতে হবে?
বাংলাদেশে যেকোনো ব্যক্তি যে ফ্রিল্যান্স পেশায় আছেন — যেমন ওয়েব-ডেভেলপার, ডিজিটাল মার্কেটার, গ্রাফিক ডিজাইনার, অনলাইন উপদেষ্টা ইত্যাদি — তাদের আয় যদি নির্ধারিত সীমার ঊর্ধ্বে হয়, তাহলে করদাতা হিসেবে নিবন্ধন করতে হয় এবং রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে, কিছু ক্যাটাগরিতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য করমুক্তির প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
📊 আয়কর রেট ও স্ল্যাব (২০২৫ জন্য)
বর্তমানে (২০২৫ সালের করবর্ষ অনুযায়ী) সাধারণ ব্যক্তিদের জন্য আয়কর স্ল্যাব নিম্নরূপ প্রস্তাব করা হয়েছে:
| আয়ের ধাপ | করহার |
|---|---|
| ৳ ৩,৫০,০০০ অথবা ততোধিক পর্যন্ত | ০% |
| এর পরবর্তী অর্থের জন্য ধাপে ধাপে প্রয়োগ | ৫%-৩০% পর্যন্ত (উচ্চ আয় অনুযায়ী) |
উদাহরণস্বরূপ: যদি একটি ফ্রিল্যান্সার বছরে আয় করে ৳ ৭,০০,০০০, তাহলে প্রথম ৳ ৩,৫০,০০০ করমুক্ত, এরপর বাকি আয়ের উপরে স্ল্যাব অনুযায়ী কর দিতে হবে।
🧮 আয়কর নিরূপণের ধাপসমূহ
- মোট আয় নির্ধারণ করুন: স্থানীয় ব্যাংক/অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে আয়, বিদেশি রেমিট্যান্সসহ মোট আয় গণনা করুন।
- আয় থেকে রেয়াতযোগ্য খরচ ও বিনিয়োগ বিয়োগ করুন: ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যেমন: ইন্টারনেট, সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন, বাড়ি অফিস খরচ অংশ, ভ্রমণ খরচ ইত্যাদি যুক্ত হতে পারে।
- করযোগ্য আয় নির্ধারণ করুন: (মোট আয় – অনুমোদিত খরচ) = করযোগ্য আয়।
- কর নিরূপণ করুন: করযোগ্য আয় অনুযায়ী স্ল্যাব প্রয়োগ করুন।
- রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধ করুন: রিটার্ন জমা দিয়ে নির্ধারিত কর পরিশোধ করুন NBR-এর ই-ফাইলিং সিস্টেমে।
📋 উদাহরণসহ হিসাব
ধরা যাক — ফ্রিল্যান্সার জনাব তাজউদ্দিন ২০২৫ করবর্ষে করেছে:
- অনলাইন প্রজেক্ট আয়: ৳ ৬,০০,০০০
- স্থানীয় ক্লায়েন্ট আয়: ৳ ২,০০,০০০
- মোট আয় = ৳ ৮,০০,০০০
- খরচ যেমন: ইন্টারনেট ও সফটওয়্যার = ৳ ৫০,০০০; বাড়ি অফিস অংশ = ৳ ৩০,০০০ → মোট অনুমোদিত খরচ = ৳ ৮০,০০০
- করযোগ্য আয় = ৳ ৮,০০,০০০ – ৳ ৮০,০০০ = ৳ ৭,২০,০০০
এখন কর নিরূপণ করা যাক (স্ল্যাব ধরে):
| প্রথম ৳ ৩,৫০,০০০ | ০% | ৳ ০ |
| পরবর্তী ৳ ৩,৭০,০০০ (৭,২০,০০০ – ৩,৫০,০০০) | ৫% | ৳ ১৮,৫০০ |
মোট কর ≈ ৳ ১৮,৫০০
(দ্রষ্টব্য: যদি উচ্চ আয় হয়, তাহলে পরবর্তী ধাপে আরও কর হারে হয়।)
✔️ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য করদানের টিপস
- সকল আয় ব্যাংকে রেমিট বা স্থানান্তর করুন — আর্থিক দৃষ্টিতে স্বচ্ছতা ভালো।
- সকল খরচের রসিদ রাখুন — পরে রেয়াত দাবি করার জন্য সহায়ক।
- নিয়মিতভাবে আয়–ব্যয় রেকর্ড রাখুন (Excel/QuickBooks)।
- টিন নম্বর (TIN) নিবন্ধন করুন — কর রিটার্নের জন্য আবশ্যক।
- নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করুন — সময়সীমা মিস করলে জরিমানা ও সুদ লাগতে পারে।

Post a Comment
0Comments