Late Tax Return Penalty: প্রতিদিনের জরিমানা এবং প্রদেয় করের ১০% দণ্ড কীভাবে এড়াবেন? [আয়কর আইন ২০২৩]

Government Learning
By -
0
Late Tax Return Penalty: প্রতিদিনের জরিমানা এবং প্রদেয় করের ১০% দণ্ড কীভাবে এড়াবেন? [আয়কর আইন ২০২৩]

🚨 দেরিতে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শাস্তি: প্রতিদিনের জরিমানা এবং প্রদেয় করের ১০% দণ্ড কীভাবে এড়াবেন?

প্রতি বছর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) দাখিল করা প্রত্যেক করদাতার আইনি বাধ্যবাধকতা। নতুন আয়কর আইন ২০২৩ কার্যকর হওয়ার পর এই বাধ্যবাধকতা আরও কঠোর হয়েছে। দেরিতে ট্যাক্স জমা দিলে করদাতার উপর দুই ধরনের কঠোর রিটার্ন দাখিল জরিমানা আরোপিত হতে পারে। এই জরিমানা থেকে বাঁচার উপায় এবং আইনি বিধান নিচে তুলে ধরা হলো:


১. 💰 দেরিতে ট্যাক্স জমা দিলে জরিমানার বিধান

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হলে করদাতার উপর দুটি ভিন্ন ধারা অনুযায়ী আর্থিক দণ্ড আরোপ করা হয়:

A. প্রথম জরিমানা (One-time Penalty):

আইন: আয়কর আইন ২০২৩, ধারা ১৮৫ (১) (ক)

দণ্ড: যে বছর রিটার্ন দাখিল করা হবে, সেই বছরের **প্রদেয় করের ১০ শতাংশ (Gross Tax Liability) অথবা ৳ ১,০০০ (এক হাজার টাকা), এই দুটির মধ্যে যা বেশি হবে, সেই পরিমাণ অর্থ প্রথম জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।

B. প্রতিদিনের জরিমানা (Continuing Penalty):

আইন: আয়কর আইন ২০২৩, ধারা ১৮৫ (১) (খ)

দণ্ড: প্রথম জরিমানা আরোপের পর ব্যর্থতা যত দিন ধরে চলতে থাকবে, প্রতিদিনের জন্য ৳ ৫০ (পঞ্চাশ টাকা) হারে অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে।

আইনি রেফারেন্স: এই জরিমানা আরোপের ক্ষমতা উপকর কমিশনারের (Deputy Commissioner of Taxes - DCT) হাতে ন্যস্ত রয়েছে (ধারা ১৮৫)।


২. 🛡️ কঠোর রিটার্ন দাখিল জরিমানা এড়ানোর কৌশল

দেরিতে রিটার্ন দাখিলের শাস্তি এড়াতে হলে করদাতাকে নিম্নলিখিত কৌশলগুলো অনুসরণ করতে হবে:

  • সময় বাড়ানোর আবেদন (Time Extension): নির্ধারিত সময়সীমার (সাধারণত ৩০ নভেম্বর) মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হলে, সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে উপকর কমিশনারের নিকট সময় বাড়ানোর জন্য লিখিত আবেদন** করুন। DCT সন্তুষ্ট হলে সাধারণত ২ মাস পর্যন্ত সময় দিতে পারেন।
  • অগ্রিম কর পরিশোধ: সময় বাড়ানোর আবেদন করার সময় আপনার মোট প্রদেয় করের (Estimated Tax Liability) কমপক্ষে ৫০% পরিশোধের প্রমাণপত্র আবেদনের সঙ্গে জমা দিন। এটি সময় বৃদ্ধির অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
  • সম্পূর্ণ পরিপালন: জরিমানা এড়ানোর শ্রেষ্ঠ উপায় হলো সময়মতো এবং সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে রিটার্ন দাখিল করা।

৩. ⚖️ আইনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক

স্বীকৃতিপত্র প্রদর্শন (Proof of Filing):

**আয়কর আইন ২০২৩** এর বিধান অনুযায়ী, রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (Acknowledgement Receipt) অনেক সেবা পাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে আরও ভিন্ন ধরনের জরিমানা (৳ ২০,০০০ থেকে ৳ ৫০,০০০) হতে পারে (ধারা ২৬৫)।

সুদ (Interest) আরোপ:

রিটার্ন দাখিল জরিমানা ছাড়াও, যদি আপনার প্রদেয় কর থাকে এবং তা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করা হয়, তবে বকেয়া করের উপর মাসিক ২% হারে সরল সুদ আরোপিত হবে (ধারা ১৮৩)।

আইনি রেফারেন্স: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ কর পরিশোধ না করলে বকেয়া করের উপর সুদ আরোপ হয় (ধারা ১৮৩)।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)