VAT Return Filing Penalty: দেরিতে দাখিলপত্র জমা দিলে কত জরিমানা? [মূসক আইন ২০১২]

Government Learning
By -
0
ভ্যাট দাখিলপত্র দেরিতে জমা দিলে জরিমানা কত? মূসক আইন অনুযায়ী ত্রুটির তালিকা

📝 ভ্যাট দাখিলপত্র (রিটার্ন) দেরিতে জমা দিলে জরিমানা কত? মূসক আইন অনুযায়ী চালান ও রেকর্ডের ত্রুটির সম্পূর্ণ তালিকা।

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (মূসক আইন ২০১২) অনুযায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সময়মতো ভ্যাট দাখিলপত্র (রিটার্ন) জমা দিতে হয়। এই সময়সীমা পার হলে কঠোর জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও, ভ্যাট চালানপত্র ও রেকর্ড সংরক্ষণে সামান্য ত্রুটি থাকলেও আর্থিক শাস্তি আরোপিত হতে পারে।

এখানে মূসক আইন অনুযায়ী ভ্যাট রিটার্ন দেরিতে জমা দেওয়ার জরিমানা এবং চালান ও রেকর্ডের ত্রুটির সম্পূর্ণ তালিকা তুলে ধরা হলো:


১. 💰 ভ্যাট দাখিলপত্র (রিটার্ন) দেরিতে জমা দিলে জরিমানা

মূসক আইন ২০১২ অনুযায়ী, প্রত্যেক নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে কর মেয়াদের (সাধারণত মাসিক) জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিলপত্র পেশ করতে ব্যর্থ হলে যে জরিমানা প্রযোজ্য হয়, তা নিচে দেখুন:

অপরাধ / ব্যর্থতা আইনের ধারা শাস্তির পরিমাণ (জরিমানা)
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিলপত্র পেশে ব্যর্থতা ধারা ৬৪ ও ধারা ৮৫ (১)(চ) ন্যূনতম ৳ ১০,০০০ (দশ হাজার টাকা)। ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলে প্রতি কার্যদিবসের জন্য ৳ ১,০০০ (এক হাজার টাকা) হারে অতিরিক্ত জরিমানা।
দাখিলপত্র পেশে ব্যর্থতা এবং কর ফাঁকি/অনিয়ম ধারা ৮৫ ও ধারা ১১১, ১১৩ কর ফাঁকির পরিমাণ এবং অপরাধের গুরুত্ব অনুসারে জরিমানা, যা ফাঁকি দেওয়া অঙ্কের সমপরিমাণ পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও সুদ ও ফৌজদারি মামলা হতে পারে।

🚨 দাখিলপত্রের সময়সীমা: প্রত্যেক নিবন্ধিত ব্যক্তি কর মেয়াদ সমাপ্তির অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে দাখিলপত্র পেশ করবেন। তবে, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও শূন্য রিটার্ন দাখিলকারীরা ২০ দিনের মধ্যে দাখিলপত্র পেশ করতে পারে।


২. 📋 মূসক আইন অনুযায়ী চালান ও রেকর্ডের ত্রুটির সম্পূর্ণ তালিকা ও শাস্তি

মূসক আইন ২০১২ এর অধীনে চালানপত্র (মূসক-৬.৩) ইস্যু, উৎসে মূসক কর্তন (Withholding VAT) এবং হিসাবপত্র (রেকর্ড) সংরক্ষণে ত্রুটি বা আইন অমান্য করলে নিম্নলিখিত জরিমানা আরোপিত হতে পারে:

ক্রমিক অপরাধ বা ব্যর্থতার বিবরণ সংশ্লিষ্ট ধারা ন্যূনতম/সর্বোচ্চ শাস্তি
ভ্যাট চালানপত্র (মূসক-৬.৩) ইস্যু না করা বা সঠিক তথ্য না দেওয়া ধারা ৩৭ (১) ও ধারা ৮৫ (১)(ক) অনূর্ধ্ব **৳ ২৫,০০০**
রেকর্ড বা হিসাবপত্র সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা (ক্রয়-বিক্রয় খতিয়ান, ইনপুট-আউটপুট হিসাব ইত্যাদি) ধারা ৪১, ৪২ ও ধারা ৮৫ (১)(খ) অনূর্ধ্ব ৳ ২৫,০০০
ভুয়া বা জাল মূসক চালানপত্র ব্যবহার করা ধারা ১১১ (গুরুতর অপরাধ) কর ফাঁকির সমপরিমাণ অর্থদণ্ড এবং ফৌজদারি মামলা হতে পারে।
উৎসে মূসক কর্তন (Withholding VAT) করে সরকারি কোষাগারে নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে ব্যর্থ হওয়া ধারা ৮৫ (১)(ঙ) উৎসে কর্তনকৃত মূসক সুদসহ আদায় এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর অনধিক ৳ ২৫,০০০ ব্যক্তিগত জরিমানা।
নোটিশ অমান্য করে তথ্য বা দলিলাদি সরবরাহ না করা ধারা ৯১ ও ধারা ৮৫ (২) মূসক কর্মকর্তার বিবেচনা অনুযায়ী জরিমানা।

৩. ⚠️ গুরুত্বপূর্ণ আইনগত বিষয়

  • সুদ আরোপ: কর ফাঁকি বা কম পরিশোধ করলে, জরিমানার পাশাপাশি বকেয়া করের উপর প্রতি মাসে ২% সরল সুদ আরোপিত হবে (ধারা ১২৭)।
  • জরিমানা অতিরিক্ত: মূসক আইনের অধীনে আরোপিত জরিমানা, সুদ, এবং অর্থদণ্ড সবসময়ই প্রদেয় মূসক, সম্পূরক শুল্ক বা টার্নওভার করের অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে (ধারা ১২০)।
  • ফৌজদারি মামলা: কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে জালিয়াতি বা প্রতারণার প্রমাণ পেলে ফৌজদারি মামলা দায়ের হতে পারে।

ব্লগিং কিওয়ার্ডস: ভ্যাট রিটার্ন দাখিল, দাখিলপত্র জরিমানা, ভ্যাট আইন ২০১২, উৎসে মূসক কর্তন (Withholding VAT), কর চালানপত্র ত্রুটি, ভ্যাট দেরিতে জমা, মূসক-৬.৩

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)